এক জন আলেম অপর এক জন আলেম এর ভূল ধরবে, এটা যুগ যুগ ধরে চলে আসছে, যা স্বাভাবিক একটি বিষয়। যারা ফিকাহ পড়েছে, তারা বুঝতে সহজ হবে এর রহস্যটা কি?। তাই বলে কি ? আলেমদের ব্যাপারে কিছু না জেনে এক জনের অন্ধ ভক্ত হয়ে, আবুল তাবুল বলা উচিৎ না।মতবেদ, মতপার্থক্য ইসলামের শুরু থেকে আছে ও থাকবে ।এতে করে ধর্মের নিয়ম কানুন মানা ও বুঝা সাধারণ মুসলমানদের জন্য সহজ।ভুল বলা, ভুল ধরে দেওয়া এটা আলেমদের ব্যাপার,কারণ (কুরআন হাদীসের পুরা জ্ঞান আল্লাহ ও তার রাসুল ভাল জানে) আপনি আমি যে টা শুদ্ধ, সেটা জানব,মানব,বিশ্বাস করব। আর সবা্নইকে মেনে চলার চেষ্টা করব।বর্তমানে কিছু আলেম ফতোয়াকে গুরুত্ব দেয় ,আর কিছু আলেম তাকওয়া কে গুরুত্ব দেয়। হাদীস একটা পেলে ,উক্ত হাদীস অন্য হাদীস দ্বারা রহিত কিনা? বা কুরআন দ্বারা রহিত কিনা? তা না বুঝে অন্য হাদীস দ্বারা সমর্থন আছে কিনা ? ফতোয়ার মধ্যে আসবে কিনা ? সাধারণ মুসলমানদের সামনে বলা যাবে কিনা ? শরীয়তের দলিল হিসাবে সাবস্ত্য কিনা? তা না ভেবে, হাজার হাজার জনগণের সামনে বলে জনগণকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলে দেয়। ফলে ফেতনা বা ঝগড়া সৃষ্টি হয়। একটা কথা মনে রাখা উচিৎ ফেতনা হত্যা থেকে জঘন্য। ফিতরা নিয়ে, তারাবী নিয়ে , আজান নিয়ে, হাত বাঁধা নিয়ে, মাটির তৈরী ও নুরের তৈরী নিয়ে, হাত উঠা নিয়ে, দরুদ শরীফ নিয়ে, কিয়াম নিয়ে, নারায়ে তাকবীর নিয়ে, কবর ও মাজার নিয়ে, হায়াতুন নবী নিয়ে, হাজের নাজের নিয়ে, মিরাজ নিযে, বিতির নামায তিন না এক রাকাত নিয়ে, জানাযা সালাত, না দোয়া তা নিয়ে, জোরে আমিন, না আস্তে আমিন বলা নিয়ে, মাইকে আজান দেয়া নিয়ে, শেষ নবী নিয়ে, নবী মুসলিম না ইসলাম তা নিয়ে, পাক পাজ্ঞাব নিয়ে, নবীর স্মরণ নামাযে , মৃত না জীবিত, বিশেষ করে নবী ও ইসলামের কিছু বিধান নিয়ে, আলেম সমাজ যুক্তি,তর্ক, কুরআন হাদীস এর মধ্য থেকে দলিল পেশ, আজ মারাত্মক ভাবে বেড়ে গেছে।কিন্তু ইসলামের শুরুতে বিশেষ করে সাহাবী ও তাবঈদের যুগে হালকা মতপার্থক্য ছিল। তা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পেতে থাকে।বর্তমানে খুব নাজুক অবস্থায় এসে পৌঁছে গেছে। হাদীসে আছে, ইহুদী ৭২ ফেরকা, আর আমার উম্মত হবে ৭৩ ফেরকা , শুধু এক ফেরকা জান্নাতী। ৭২ থেকে ৭৩ ফেরকা না, আমার মনে হয় ৭৩ হাজার ফেরকায় রুপ নিয়েছে।আমরা সাধারণ মানুষ কোন দিকে যাব? একটা রাস্তা আছে, তা হচ্ছে, ঈমান, নামায, রোজা, হজ্জ ও যাকাত শুধু এত টুকু শুদ্ধ করে পড়ে, বুঝে, তা বাস্তবায়ন করে নবীকে ভালবেসে ঈমানের সাথে মুখে কালেমা নিয়ে হালাল হারাম জেনে ও বুঝে তা আমল করে জান্নাতের উদ্দেশ্যে দুনিয়া থেকে চলে যাব ইনশাল্লাহ।এটাই বিশ্ব নবীর দেখানো সহজ ও সরল পথ।
