যদি আমরা সচেতন হই, তাহলে কুরবানির চামড়া বিভিন্ন ধরনের রান্না করে। খাওয়া যায়। তা খেতে সুস্বাদু । অথবা দাবাগাত করে নিজেরা ব্যবহার করতে পারি।রান্না করে খেতে পারি । গরুর চামড়া সম্পূর্ণ হালাল। আপনিও খেতে পারেন। জনগন কুরবানীর পশুর ন্যায্য মূল্য না পাওয়ায় চামড়া খাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সময়ের সঠিক সিদ্ধান্ত। দেশের সর্বস্তরের জনগণ এরকম সিদ্বান্ত নিন। সিন্ডিকেট গডফাদারদের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিন।
ইসলামের দৃষ্টিতে গরু-ছাগলের চামড়া খাওয়া হালাল। আমাদের দেশে গরু-ছাগলের বট খাওয়ার ব্যাপক প্রচলন আছে। বিভিন্ন এলাকায় গরুর মাথার চামড়া রান্না করে খাওয়ার প্রচলন আছে। আফ্রিকা, মালয়েশিয়া- ইন্দোনেশিয়াতে পশুর চামড়া খাওয়ার প্রচলন আছে।
চামড়ার রন্ধন প্রক্রিয়াও অনেক সহজ। প্রথমেই চামড়া এক থেকে দেড় ফিট সাইজের ছোট ছোট টুকরা করে নিতে হবে। এরপর ৩০মিনিট গরম পানিতে সিদ্ব করতে হবে। এরপর মেঝেতে কোনো কিছুর উপর রেখে চামড়ার উপরের অংশে গরম পানি ঢেলে সাথে সাথে স্ট্রিলের চামচ দিয়ে আঁচড় দিলে উপরের পশমগুলো উঠে যাবে। লোম উঠে যাবার পর চামড়ার নিচের অংশ পরিষ্কার করে ছোট ছোট টুকরা করতে হবে। ভালোভাবে ধুয়ে গরম পানিতে সিদ্ধ করতে হবে। সিদ্ধ হলে, প্রয়োজনীয় মশলা দিয়ে গোশতের মত করে রান্না করতে হয়।
একটি চামড়ায় ১০ থেকে ১৫ কেজি কিংবা এর থেকে বেশি পরিমাণ গোশত পাওয়া যায়। এছাড়া চামড়া দিয়ে হালিম, চটপটি ইত্যাদি রান্না করলেও তা মজাদার হয়। আর গরম চামড়া দিয়ে ভাত ও রুটি খাওয়া আরো মজাদার। যারা চামড়া খান, তাদের বক্তব্য হলো, একেক পশুর চামড়ার একের রকম স্বাদ। আফ্রিকার অনেক রাষ্ট্রে গরুর চামড়া দিয়ে অনেক স্পেশাল আইটেম রান্না করা হয়, সেগুলো দেশ-বিদেশে প্রসিদ্ধ।
চামড়া খাওয়ার সিস্টেমটাকে আত্মস্থ করা যায়, তাহলে বাসা-বাড়ী ও মাদরাসার বোর্ডিংগুলোতে অনেকদিনের তরকারীর সুন্দর ব্যবস্থা হতে পারে। সেই সাথে দেশের একটি সম্পদ নষ্ট হওয়ার হাত থেকে বাঁচতে পারে।
যদি হালাল হয়, খেতে অসুবিধা নাই।আপনিও চেষ্টা করুন। একবার ।
Ata age jantam na to… Good things.